ফার্নিচার শব্দটি উচ্চারিত হবার সাথে সাথেই সেগুন নামটি অবচেতন মনে সামনে আসে। টেকসই এই কাঠের নান্দনিক আসবাবপত্র বর্তমান সময়ে আভিজাত্যের প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেগুন কাঠ অত্যন্ত শক্ত; জাদুকরী রঙ,স্থায়ীত্ব ও পানি প্রতিরোধী ক্ষমতার জন্য এটিকে “কাঠের রাজা” বলা হয়।
পচনরোধী বৈশিষ্ট্য ও অত্যধিক শক্ত হবার কারণে শত শত বছর ধরে সেগুন কাঠ জাহাজ , নৌকা ও ট্রেন শিল্পে ব্যবহৃত হয়। অক্ষয় এ কাঠের ফার্নিচার ক্রয়, যোগ্য বিনিয়োগ হিসেবে বিবেচিত, যা আপনাকে আভিজাত্যের পাশাপাশি নিশ্চিন্ততা দান করবে। আপনি কী সেগুন কাঠের ফার্নিচার কেনার কথা ভাবছেন? Authentic Furniture, ঢাকা, বাংলাদেশ, আসল সেগুন কাঠের বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান।
মায়ানমার সেগুন গাছের আদি নিবাস হলেও দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রায় সব দেশেই এ গাছ জন্মে। বাংলাদেশের পার্বত্য জেলা বান্দরবন, রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়িতে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ সেগুন গাছ রয়েছে। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন স্থানে বাণিজ্যকভাবে ব্যাপকহারে এ গাছ রোপণ করা হচ্ছে। আমাদের দেশের বাজারে বার্মা ও চট্রগ্রাম সেগুনের চাহিদা বেশী।
সেগুন কাঠের বৈজ্ঞানিক নাম Tectona Grandis, এটি অতি শক্ত প্রকৃতির ঘন দানাদার কাঠ। সেগুন কাঠের রঙ সোনালী, সময়ের সাথে এ কাঠে রুপালী ধূসর প্যাটিনা তৈরি হলেও তা চারপাশে অতি চমৎকারভাবে মিশে যায় এবং এর সৌন্দর্য অক্ষুণ্ণ রাখে। প্রাকৃতিক তেল ও রাবারের উপস্থিতি বেশী হবার কারণে সেগুন কাঠ মজবুত, টেকসই এবং পচনশীল নয়।
সেগুন ফার্নিচার চিত্তাকর্ষক ও চিরযৌবনা। নতুন অবস্থায় এটি সোনালী বর্ণের থাকে,কিছুদিন পর এটি বিলাসবহুল রূপালী-ধূসর রঙ পরিধান করে; অনেক পুরাতন হবার পরও সেগুন কখনো কালো দেখায় না। অর্থাৎ সেগুন প্রাকৃতিকভাবে সুন্দর এবং এর সৌন্দর্য কখনো শেষ হয় না।
প্রকৃতিতে প্রাপ্ত কাঠগুলোর মধ্যে সেগুন কাঠ সবচেয়ে শক্ত,বৈরি আবহাওয়ায় এ কাঠের গুনাগুণ অপরিবর্তিত থাকে এবং এটি পচনশীল নয়। একই সৌন্দর্য বজায় রেখে কয়েক দশক স্থায়ী হবার কারণে বিশ্বব্যাপি সেগুন ফার্নিচার টেকসই ফার্নিচার হিসেবে নিজের অবস্থান পোক্ত করেছে।
সেগুন কাঠে পর্যাপ্ত প্রাকৃতিক তেল এবং রাবার থাকে তাই এটি পচন প্রতিরোধী। দীর্ঘ্য দিন বৃষ্টি ও তুষারে রেখে দিলেও এটি পঁচে যায় না। চরম পচন প্রতিরোধ ক্ষমতা ও স্থায়ীত্বের জন্য এ কাঠ জাহাজ ও নৌকা নির্মাণ শিল্পে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়।
সেগুন কাঠে পর্যাপ্ত তেলের উপস্থিতি থাকায় এটি উইপোকা, ঘুনপোকা এবং অন্যান্য কীটপতঙ্গ প্রতিরোধী। আপনি যদি সেগুন কাঠের ফার্নিচার ক্রয় করেন তাহলে এ বিষয়ে নিশ্চিত থাকতে পারেন যে কীটপতঙ্গের আক্রমনে এটি নষ্ট হবে না।
সেগুন কাঠ অত্যধিক শক্ত এবং টেকসই। শত বছরের পর্যবেক্ষণে এটি প্রমাণিত যে বৈরি আবহাওয়া বা অন্য কোন কারণে এ কাঠে ফাটল ধরেনা।
সেগুন ফার্নিচারের রক্ষণাবেক্ষণ খরচ কম বা নেই বললেই চলে। রং অপরিবর্তিত থাকার কারণে এ ফার্নিচারে রঙ বা বার্নিশ করার প্রয়োজন হয় না। সেগুন কাঠে ফাটল ধরেনা তাই নতুন করে মেরামত খরচ লাগে না।
সাধারণত সেগুন আসবাবপত্র ৬০-৭০ বছর স্থায়ী হয়, সঠিকভাবে যত্ন নিলে এটি আরও বেশী দিন টিকে থাকে। আপনি জেনে অবাক হতে পারেন যে, ব্রিটেনের প্রাচীন পার্কগুলোতে শত বছরের ও বেশি পুরনো সেগুন কাঠের বেঞ্চ রয়েছে।
খালি চোখে সেগুন কাঠকে অনেক দামি মনে হতে পারে, খরচ করা অর্থের তুলনায় সেবা মূল্য বিবেচনায় আনলে এর দাম কমই মনে হবে। অত্যন্ত টেকসই এবং সব আবহাওয়ায় টিকে থাকতে সক্ষম সেগুন ফার্নিচার কয়েক দশক পর্যন্ত আপনাকে নিশ্চিন্তে সেবা দিয়ে যাবে। তাই সাময়িক ভাবে ব্যয়বহুল মনে হলেও সেগুন ফার্নিচারে বিনিয়োগ আপনার পুরো জীবনের জন্য স্থায়ী ও যোগ্য বিনিয়োগ।
আসল সেগুন কাঠ চেনার উপায় কী?এ প্রশ্নটি আমাদের মাথায় ঘুরপাক খায়, কয়েকটি বিষয় লক্ষ্য রাখলেই আপনি সহজে সেগুন কাঠ সনাক্ত করতে পারবেন।
উপরের আলোচনায় সেগুন কাঠের বিভিন্ন চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য তুলে ধরা হয়েছে, যা আপনার জন্য সহায়ক হতে পারে। সেগুন সম্পর্কিত আরও তথ্য জানতে এবং দৃষ্টিনন্দন বিভিন্ন সেগুন ফার্নিচার দেখতে আপনাকে Authentic Furniture, ঢাকা, বাংলাদেশ, এর শোরুমে আন্তরিকভাবে স্বাগত জানাচ্ছি। নিন্মোক্ত নাম্বারে ফোন করে আপনি আমাদের প্রতিনিধির সাথে ও কথা বলতে পারেন।
Please Call +8801616665020 +8801616665006 or Visit